জয় নিউজ সেভেন ।। চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে কাউকে কিছু না বলে স্ত্রী বাড়িছাড়ার পর পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারের পর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম, স্বামী এবং স্ত্রী দু’জনের কথা গুরুত্বের সাথে শোনেন। উভয়ের কথা শোনার পর পুলিশ সুপার এবং ওসি’র মধ্যস্থতায় তারা সন্তানদের নিয়ে একটি সুন্দর পরিবার গঠন করবে মর্মে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নারী, শিশু ও বৃদ্ধ হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে, স্বামী মোঃ শাহজাহান মোল্লার নিকট তার স্ত্রীকে হস্তান্তর করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় উপস্থিত হয়ে পৌরশহরের দক্ষিণ গোরস্থান পাড়ার মৃত আব্দুল হালিম মোল্লার ছেলে মোঃ শাহজাহান মোল্লা (৪৮) অভিযোগ দায়ের করেন তার স্ত্রী মোছাঃ সালমা খাতুনকে রাত থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। পরবর্তীতে শনিবার দুপুরে শাহজাহান মোল্লা তার নিষ্পাপ দুটি শিশু সন্তানসহ উপস্থিত হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পাবার জন্য চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মোঃ জাহিদুল ইসলামের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পুলিশের সুপারের নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী, শিশু ও বৃদ্ধ হেল্প ডেস্কে নিয়োজিত কর্মকর্তা এসআই শাহনাজ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শনিবার (৬ই মার্চ) বেলা সাড়ে ৩টার সময় আলমডাঙ্গা উপজেলার বাদেমাজু গ্রাম থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সমর্থ হন।
উদ্ধারের পর ভিকটিম সালমা খাতুন পুলিশকে জানায়, তার স্বামী কারণে অকারণে তার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার এবং নির্যাতন চালায়। এসব নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। ভিকটিম সালমা খাতুনের এ কথার সত্যতা পাওয়ায় তার স্বামীকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করে দেয় পুলিশ। এ সময় তারা উভয়ই সন্তানদের নিয়ে সুখে শান্তিতে সংসার করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলে সালমা খাতুনকে সদর থানার নারী, শিশু ও বৃদ্ধ হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে তার স্বামী মোঃ শাহজাহান মোল্লার নিকট হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান।
রিপোর্টঃ এম.এ.আর.নয়ন/এম.এইচ.সম্রাট